বেশিরভাগ ইসরায়েলিও গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি চান
বেশিরভাগ ইসরায়েলিও গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি চান
Blog Article
বেশিরভাগ ইসরায়েলিও গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি চান
ইসরায়েলের বেশিরভাগ মানুষ গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে তারা গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি ও ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি চান। ইসরায়েলি সরকারি টেলিভিশন কান প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপে এ তথ্য জানানো হয়। খবর মিডল ইস্ট আইয়ের।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হামলায় যখন গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং প্রতিনিয়তই মারা যাচ্ছে বহু মানুষ, ঠিক তখনই জরিপের ফল জানাল ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমটি।
ইসরায়েলের কান্টার ইনস্টিটিউট পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলি জনগণের প্রায় ৫৬ শতাংশ গাজা যুদ্ধের অবসান এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তির পক্ষে। জরিপ অনুসারে, ২২ শতাংশ ইসরায়েলি জনগণ এ ধরনের চুক্তির বিরোধী। তার গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে।
এর মধ্যে তেল আবিবে আগামী বৃহস্পতিবার বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছে যুদ্ধবিরোধীরা। তবে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ ওই মিছিল-সমাবেশে গাজার শিশুদের ছবি বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার তেল আবিবে পরিকল্পিত একটি বিক্ষোভে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীদের গাজার শিশু এবং শিশুদের ছবি প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ইসরায়েলি পুলিশ।
হারেৎজ সংবাদপত্রের মতে, পুলিশ আয়োজকদের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে, যাতে তাদের ব্যানারে ‘গণহত্যা’ এবং ‘জাতিগত নির্মূল’ ইত্যাদি শব্দ না রাখার জন্য বলা হয়েছে। তবে বিক্ষোভের অন্যতম আয়োজক অ্যালন-লি গ্রিন বলেন, কর্তৃপক্ষ যদি এই শর্ত আরোপ করার জন্য চাপ দেয়, তবে আমরা হাইকোর্টে যাব এবং এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করব।
এদিকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সাহায্যে জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত জানিয়েছে, উপত্যকার বেসামরিক নাগরিকরা অকল্পনীয় দুর্ভোগ সহ্য করছে। ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজার জনসংখ্যার বেশিরভাগই শিশু, মহিলা এবং সাধারণ বেসামরিক পুরুষ। সেখানে খাদ্য ও মানবিক ত্রাণ বন্ধ করে সবাইকে সম্মিলিত শাস্তি দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।
গাজায় ১৫ চিকিৎসককে হত্যা, কমান্ডারের ওপর দায় চাপাল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী: ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পেশাগত ব্যর্থতার কারণে গাজায় ১৫ চিকিৎসক নিহত হয়েছেন বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) তদন্তে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেদিন সেনাসদস্যদের ভুল বোঝাবুঝি এবং আদেশ অমান্য করার একাধিক আলামত পাওয়া গেছে।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, চিকিৎসক দলকে শত্রুপক্ষের লোক মনে করে গুলি ছুড়েছিল ইসরায়েলি সেনারা। তারা এক কমান্ডারের ওপর দায় চাপিয়েছে।
গত ২৩ মার্চ প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) অ্যাম্বুলেন্স, একটি জাতিসংঘের গাড়ি ও একটি ফায়ার ট্রাকের বহরে আইডিএফ গুলি চালায়। এতে ১৪ চিকিৎসক ও এক ইউএন কর্মী নিহত হন।
এ ঘটনার জন্য গাজা সিভিল ডিফেন্স ও প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। তারা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে এ আহ্বান জানায়।
চলছে হত্যাযজ্ঞ: গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গতকাল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ নিয়ে গত ১৮ মাসে মোট নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ২৪০ জন। ওই ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। Report this page